BDELIBRARY





আরোগ্য

রবীন্দ্র রচনাবলী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর




অতি দূরে আকাশের সুকুমার পান্ডুর নীলিমা
অলস শয্যার পাশে জীবন মন্থরগতি চলে
অলস সময়-ধারা বেয়ে
আলোকের অন্তরে যে আনন্দের পরশন পাই
উৎসর্গ (আরোগ্য)
এ আমির আবরণ সহজে স্খলিত হয়ে যাক
এ কথা সে কথা মনে আসে
এ জীবনে সুন্দরের পেয়েছি মধুর আশীর্বাদ
এ দ্যুলোক মধুময়, মধুময় পৃথিবীর ধূলি
একা ব’সে সংসারের প্রান্ত-জানালায়
ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় যাত্রার সময় বুঝি এল
খ্যাতি নিন্দা পার হয়ে জীবনের এসেছি প্রদোষে
ঘন্টা বাজে দূরে
চিরদিন আছি আমি অকেজোর দলে
দিদিমণি– অফুরান সান্ত্বনার খনি
দিন পরে যায় দিন
দ্বার খোলা ছিল মনে
ধীরে সন্ধ্যা আসে
নগাধিরাজের দূর নেবু-নিকুঞ্জের
নারী তুমি ধন্যা
নির্জন রোগীর ঘর
পরম সুন্দর আলোকের স্নানপুণ্য প্রাতে
পলাশ আনন্দমূর্তি জীবনের ফাগুনদিনের
প্রত্যহ প্রভাতকালে ভক্ত এ কুকুর
ফসল কাটা হলে সারা মাঠ হয়ে যায় ফাঁক
বাক্যের যে ছন্দোজাল শিখেছি গাঁথিতে
বিরাট মানবচিত্তে
বিরাট সৃষ্টির ক্ষেত্রে
বিশুদাদা– দীর্ঘবপু, দৃঢ়বাহু, দুঃসহ কর্তব্যে নাহি বাধা
ভালোবাসা এসেছিল একদিন তরুণ বয়সে
মিলের চুমকি গাঁথি ছন্দের পাড়ের মাঝে মাঝে
মুক্তবাতায়নপ্রান্তে জনশূন্য ঘরে
যখন এ দেহ হতে রোগে ও জরায়
হিংস্র রাত্রি আসে চুপে চুপে