BDELIBRARY





খাপছাড়া

রবীন্দ্র রচনাবলী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর




অল্পেতে খুশি হবে
আইডিয়াল নিয়ে থাকে
আদর ক’রে মেয়ের নাম
আধখানা বেল
আধা রাতে গলা ছেড়ে
আপিস থেকে ঘরে এসে
আমার পাচকবর গদাধর মিশ্র
আয়না দেখেই চমকে বলে
ইঁটের গাদার নিচে
ইতিহাসবিশারদ গণেশ ধুরন্ধর
ইদিলপুরেতে বাস নরহরি শর্মা
ইস্কুল-এড়ায়নে সেই ছিল বরিষ্ঠ
ইয়ারিং ছিল তার দু কানেই
উজ্জ্বলে ভয় তার
উৎসর্গ (সহজ কথায় লিখতে আমায় কহ যে)
একটা খোঁড়া ঘোড়ার ‘পরে
কনে দেখা হয়ে গেছে
কনের পণের আশে
কন্‌কনে শীত তাই
কাঁচড়াপাড়াতে এক ছিল রাজপুত্তুর
কাঁধে মই বলে কই ভূঁইচাপা গাছ
কালুর খাবার শখ সব চেয়ে পিষ্টকে
কুঁজো তিনকড়ি ঘোরে
কেন মার’ সিঁধ-কাটা ধূর্তে
ক্ষান্তবুড়ির দিদিশাশুড়ির
খবর পেলেম কল্য
খুদিরাম ক’সে টান
খুব তার বোলচাল
খ্যাতি আছে সুন্দরী বলে তার
খড়দয়ে যেতে যদি সোজা এস খুল্‌না
গণিতে রেলেটিভিটি প্রমাণের ভাবনায়
গব্বুরাজার পাতে ছাগলের কোর্‌মাতে
গাড়িতে মদের পিপে
গিন্নির কানে শোনা ঘটে অতি সহজেই
গুপ্তিপাড়ায় জন্ম তাহার
ঘাসি কামারের বাড়ি
ঘাসে আছে ভিটামিন
ঘোষালের বক্তৃতা
চিন্তাহরণ দালালের বাড়ি
জন্মকালেই ওর লিখে দিল কুষ্ঠি
জমল সতেরো টাকা
জর্মন প্রোফেসার
জান তুমি রাত্তিরে
জামাই মহিম এল
জিরাফের বাবা বলে
ঝিনেদার জ্ঞাদনার
টাকা সিকি আধুলিতে
টেরিটি বাজারে তার
ট্রাম্‌-কন্‌ডাক্টার
ডাকাতের সাড়া পেয়ে
তম্বুরা কাঁধে নিয়ে
তিনকড়ি তোল্‌পাড়িয়ে উঠল পাড়া
থাকে সে কাহালগাঁয়
দাঁয়েদের গিন্নিটি
দাড়ীশ্বরকে মানত ক’রে
দিন চলে না যে
দু-কানে ফুটিয়ে দিয়ে
দোতলায় ধুপ্‌ধাপ্‌
ধীরু কহে শূন্যেতে মজো রে
ননীলাল বাবু যাবে লঙ্কা
নাম তার চিনুলাল
নাম তার ডাক্তার ময়জন
নাম তার ভেলুরাম ধুনিচাঁদ শিরত্থ
নাম তার সন্তোষ
নামজাদা দানুবাবু রীতিমতো খর্‌চে
নিজের হাতে উপার্জনে
নিদ্রা-ব্যাপার কেন
নিধু বলে আড়চোখে কুছ নেই পরোয়া
নিষ্কাম পরহিতে কে ইহারে সামলায়
নীলুবাবু বলে শোনো নেয়ামৎ দর্জি
পণ্ডিত কুমিরকে ডেকে বলে
পাঁচদিন ভাত নেই, দুধ একরত্তি
পাখিওয়ালা বলে এটা কালোরঙ চন্দনা
পাঠশালে হাই তোলে
পাতালে বলিরাজার যত বলীরামরা
পাবনায় বাড়ি হবে
পাড়াতে এসেছে এক
পেঁচোটাকে মাসি তার
পেন্‌সিল টেনেছিনু হপ্তায় সাতদিন
প্রাইমারি ইস্কুলে
বউ নিয়ে লেগে গেল
বটে আমি উদ্ধত
বর এসেছে বীরের ছাঁদে
বরের বাপের বাড়ি
বলিয়াছিনু মামারে
বশীরহাটেতে বাড়ি
বহু কোটি যুগ পরে
বাংলাদেশের মানুষ হয়ে
বাদশার মুখখানা গুরুতর গম্ভীর
বালিশ নেই, সে ঘুমোতে যায় মাথার নিচে ইঁট দিয়ে
বিড়ালে মাছেতে হল সখ্য
বেণীর মোটরখানা
বেদনায় সারা মন
বেলা আটটার কমে
ব্রিজটার প্ল্যান দিল
ভুত হয়ে দেখা দিল
ভূমিকা (খাপছাড়া)
ভোতনমোহন স্বপ্ন দেখেন
ভোলানাথ লিখেছিল
ভয় নেই আমি আজ রান্নাটা দেখছি
মন উড়ুউড়ু চোখ ঢুলুঢুলু
মহারাজা ভয়ে থাকে
মাঝে মাঝে বিধাতার ঘটে একি ভুল
মানিক কহিল পিঠ পেতে দিই দাঁড়াও
মাস্টার বলে
মুচকে হাসে অতুল খুড়ো
মুরগি পাখির ‘পরে
মেছুয়াবাজার থেকে পালোয়ান চারজন
যখন জলের কল
যখনি যেমনি হোক জিতেনের মর্‌জি
যে-মাসেতে আপিসেতে
রসগোল্লার লোভে
রাজা বসেছেন ধ্যানে
রান্নার সব ঠিক
রায়ঠাকুরানী অম্বিকা
লটারিতে পেল পীতু
শিমূল রাঙা রঙে
শুনব হাতির হাঁচি
শ্বশুরবাড়ির গ্রাম
সন্ধেবেলায় বন্ধুঘরে
সভাতলে ভুঁয়ে কাৎ হয়ে শুয়ে
সময় চলেই যায়
সর্দিকে সোজাসুজি সর্দি ব’লেই বুঝি
স্ত্রীর বোন চায়ে তার
স্বপ্ন হঠাৎ উঠল রাতে
স্বপ্নে দেখি নৌকো আমার
হরপণ্ডিত বলে ব্যঞ্জন সন্ধি এ
হাজারিবাগের ঝোপে হাজারটা হাই
হাত দিয়ে পেতে হবে
হাতে কোনো কাজ নেই
হাস্যদমনকারী গুরু