BDELIBRARY
Home
Bangla-Books
-A
A
A+
প্রেম
রবীন্দ্র রচনাবলী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অজানা খনির নূতন মণির গেঁথেছি হার
অজানা সুর কে দিয়ে যায় কানে কানে
অধরা মাধুরী ধরেছি ছন্দোবন্ধনে
অনেক কথা বলেছিলেম কবে তোমার কানে কানে
অনেক কথা যাও যে ব’লে কোনো কথা না বলি
অনেক দিনের আমার যে গান
অনেক পাওয়ার মাঝে মাঝে কবে কখন একটুখানি পাওয়া
অলকে কুসুম না দিয়ো
অলি বার বার ফিরে যায়
অশান্তি আজ হানল এ কী দহনজ্বালা
আকাশে আজ কোন্ চরণের আসা-যাওয়া
আকুল কেশে আসে চায় ম্লাননয়নে কে গো চিরবিরহিনী
আছ আকাশ-পানে তুলে মাথা
আজ সবার রঙে রঙ মিশাতে হবে
আজ যেমন ক’রে গাইছে আকাশ
আজ তোমারে দেখতে এলেম
আজি যে রজনী যায়
আজি সাঁঝের যমুনায় গো
আজি গোধূলিলগনে এই বাদলগগনে
আজি আঁখি জুড়ালো হেরিয়ে
আজি এ নিরালা কুঞ্জে আমার অঙ্গ-মাঝে
আজি দক্ষিণপবনে দোলা লাগিল বনে বনে
আন্মনা আন্মনা
আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা গড়িব না ধরণীতে
আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান
আমার জ্বলে নি আলো অন্ধকারে
আমার দোসর যে জন ওগো তারে কে জানে
আমার নিখিল ভুবন হারালেম আমি যে
আমার অঙ্গে অঙ্গে কে বাজায় বাঁশি
আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই
আমার প্রাণের ‘পরে চলে গেল কে
আমার মন বলে চাই চা ই চাই গো
আমার মন মানে না
আমার মনের কোণের বাইরে
আমার যদি বেলা যায় গো বয়ে জেনো জেনো
আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে
আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়
আমার একটি কথা বাঁশি জানে
আমার ভুবন তো আজ হল কাঙাল
আমার মন কেমন করে
আমার যেতে সরে না মন
আমার নিশীথরাতের বাদলধারা
আমার নয়ন তোমার নয়নতলে মনের কথা খোঁজে
আমার প্রাণের মাঝে সুধা আছে চাও কি
আমার মন চেয়ে রয় মনে মনে
আমার মনের মাঝে যে গান বাজে
আমার আপন গান আমার অগোচরে
আমার এ পথ তোমার পথের থেকে
আমার এই রিক্ত ডালি
আমার কণ্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে
আমার নয়ন তব নয়নের নিবিড় ছায়ায়
আমার পরান লয়ে কী খেলা খেলাবে ওগো
আমার লতার প্রথম মুকুল চেয়ে আছে মোর পানে
আমার শেষ রাগিণীর প্রথম ধুয়ো ধরলি রে কে তুই
আমারে করো তোমার বীণা
আমায় থাকতে দে-না আপন-মনে
আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী
আমি আশায় আশায় থাকি
আমি এলেম তারি দ্বারে
আমি চাহিতে এসেছি শুধু একখানি মালা
আমি তোমার প্রেমে হব সবার কলঙ্কভাগী
আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ
আমি নিশি নিশি কত রচিব শয়ন
আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি
আমি যাব না গো অমনি চলে
আমি রূপে তোমায় ভোলাব না ভালোবাসায় ভোলাব
আমি কেবল তোমার দাসী
আমি কেবল তোমার দাসী
আমি ফুল তুলিতে এলেম বনে
আমি যে আর সইতে পারি নে
আমি যে গান গাই জানি নে সে কার উদ্দেশে
আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল
আর নাই রে বেলা নামল ছায়া ধরণীতে
আর নহে আর নহে বসন্তবাতাস কেন আর শুষ্ক ফুলে বহে
আরো একটু বসো তুমি আরো একটু বলো
আরো কিছুখন নাহয় বসিয়ো পাশে
আসা-যাওয়ার পথের ধারে গান গেয়ে মোর কেটেছে দিন
আহা তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা
আহা জাগি পোহালো বিভাবরী
আয় তবে সহচরী হাতে হাতে ধরি ধরি
উতল হাওয়া লাগল আমার গানের তরণীতে
উদাসিনী -বেশে বিদেশিনী কে সে নাইবা তাহারে জানি
এ কী সুধারস আনে আজি মম মনে প্রাণে
এ তো খেলা নয় খেলা নয়
এ পথে আমি-যে গেছি বার বার
এ পারে মুখর হল কেকা ওই
এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে
এই কথাটি মনে রেখো
এই বুঝি মোর ভোরের তারা এল সাঁঝের তারার বেশে
একদা তুমি প্রিয়ে আমারি এ তরুমূলে
একদিন চিনে নেবে তারে
একলা ব’সে একে একে অন্যমনে
একলা ব’সে হেরো তোমার ছবি
এখনো কেন সময় নাহি হল
এখনো তারে চোখে দেখি নি
এবার উজাড় করে লও হে আমার যা-কিছু সম্বল
এবার মিলন-হাওয়ায়-হাওয়ায় হেলতে হবে
এবার সখী সোনার মৃগ
এমন দিনে তারে বলা যায়
এরা পরকে আপন করে
এলেম নতুন দেশে
এসেছি গো এসেছি মন দিতে এসেছি
এসো এসো পুরুষোত্তম এসো এসো বীর মম
এসো আমার ঘরে
এসো এসো ফিরে এসো
ও দেখা দিয়ে যে চলে গেল
ও আমার ধ্যানেরই ধন
ও কেন চুরি ক’রে চায়
ও চাঁদ চোখের জলের লাগল জোয়ার দুখের পারাবারে
ও যে মানে না মানা
ওই মধুর মুখ জাগে মনে
ওকে ধরিলে তো ধরা দেবে না
ওকে বাঁধিবি কে রে হবে যে ছেড়ে দিতে
ওকে বল্ সখী বল্
ওগো এত প্রেম-আশা প্রাণের তিয়াষা
ওগো কে যায় বাঁশরি বাজায়ে
ওগো শোনো কে বাজায়
ওগো কিশোর আজি তোমার দ্বারে
ওগো আমার চির-অচেনা পরদেশী
ওগো কাঙাল আমারে কাঙাল করেছ
ওগো তোমার চক্ষু দিয়ে মেলে সত্য দৃষ্টি
ওগো পড়োশিনি শুনি বনপথে সুর মেলে
ওগো শান্ত পাষাণমুরতি সুন্দরী
ওগো সখী দেখি দেখি মন কোথা আছে
ওগো স্বপ্নস্বরূপিণী তব অভিসারের পথে পথে
ওরে চিত্ররেখাডোরে বাঁধিল কে
ওরে কী শুনেছিস ঘুমের ঘোরে
ওরে আমার হৃদয় আমার
ওরে জাগায়ো না ও যে বিরাম মাগে
ওলো রেখে দে সখী রেখে দে
ওলো সই ওলো সই
ওহে সুন্দর মম গৃহে আজি পরমোৎসব-রাতি
কখন দিলে পরায়ে স্বপনে বরণমালা
কখন যে বসন্ত গেল
কঠিন বেদনার তাপস দোঁহে
কত কথা তারে ছিল বলিতে
কবে তুমি আসবে ব’লে রইব না বসে
কাঁদার সময় অল্প ওরে ভোলার সময় বড়ো
কাঁদালে তুমি মোরে ভালোবাসারই ঘায়ে
কাছে আছে দেখিতে না পাও
কাছে থেকে দূর রচিল কেন গো আঁধারে
কাছে যবে ছিল পাশে হল না যাওয়া
কার চোখের চাওয়ার হাওয়ায় দোলায় মন
কাল রাতের বেলা গান এল মোর মনে
কাহার গলায় পরাবি গানের রতনহার
কী ফুল ঝরিল বিপুল অন্ধকারে
কী রাগিণী বাজালে হৃদয়ে
কী সুর বাজে আমার প্রাণে
কী হল আমার বুঝি বা সখী
কে আমারে যেন এনেছে ডাকিয়া
কে উঠে ডাকি মম বক্ষোনীড়ে থাকি
কে ডাকে আমি কভু ফিরে নাহি চাই
কে দিল আবার আঘাত আমার দুয়ারে
কে বলে ‘যাও যাও’
কে বলেছে তোমায়, বঁধু এত দুঃখ সইতে
কেটেছে একেলা বিরহের বেলা আকাশকুসুমচয়নে
কেন নয়ন আপনি ভেসে যায় জলে
কেন যামিনী না যেতে জাগালে না
কেন আমায় পাগল করে যায়
কেন ধরে রাখা ও যে যাবে চলে
কেন বাজাও কাঁকন কনকন কত ছলভরে
কেন রে এতই যাবার ত্বরা
কেন সারা দিন ধীরে ধীরে
কেহ কারো মন বুঝে না
কোথা বাইরে দূরে যায় রে উড়ে
কোথা হতে শুনতে যেন পাই
কোন্ গহন অরণ্যে তারে এলেম হারায়ে
কোন্ অযাচিত আশার আলো
কোন্ দেবতা সে
কোন্ বাঁধনের গ্রন্থি বাঁধিল দুই অজানারে
কোন্ সে ঝড়ের ভুল ঝরিয়ে দিল ফুল
ক্লান্ত বাঁশির শেষ রাগিণী বাজে শেষের রাতে
খোলো খোলো দ্বার রাখিয়ো না আর
গহন ঘন বনে পিয়াল-তমাল-সহকার-ছায়ে
গান আমার যায় ভেসে যায়
গানগুলি মোর শৈবালেরই দল
গানের ডালি ভরে দে গো উষার কোলে
গানের ভেলায় বেলা অবেলায় প্রাণের আশা
গেল গো ফিরিল না
গোধূলিগগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা
গোপন কথাটি রবে না গোপনে
ঘরেতে ভ্রমর এল গুন্গুনিয়ে
ঘুমের ঘন গহন হতে যেমন আসে স্বপ্ন
চপল তব নবীন আঁখি দুটি
চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে উছলে পড়ে আলো
চিত্ত পিপাসিত রে
চিনিলে না আমারে কি
চৈত্রপবনে মন চিত্তবনে বাণীমঞ্জরী সঞ্চলিতা
ছি ছি মরি লাজে মরি লাজে
ছিন্ন শিকল পায়ে নিয়ে ওরে পাখি
ছুটির বাঁশি বাজল যে ওই নীল গগনে
জাগরণে যায় বিভাবরী
জানি তোমার অজানা নাহি গো
জানি জানি হল যাবার আয়োজন
জানি জানি তুমি এসেছ এ পথে মনের ভুলে
জানি তুমি ফিরে আসিবে আবার
জীবনে আজ কি প্রথম এল বসন্ত
জীবনে পরম লগন কোরো না হেলা
জেনো প্রেম চিরঋণী আপনারি হরষে
জয় ক’রে তবু ভয় কেন তোর যায় না
জয়যাত্রায় যাও গো ওঠো জয়রথে তব
ঝড়ে যায় উড়ে যায় গো
ডাকব না ডাকব না অমন করে বাইরে থেকে
ডেকো না আমারে ডেকো না
তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে
তবে শেষ করে দাও শেষ গান
তার বিদায়বেলার মালাখানি
তার হাতে ছিল হাসির ফুলের হার
তারে কেমনে ধরিবে সখী যদি ধরা দিলে
তারে দেখাতে পারি নে কেন প্রাণ খুলে গো
তুই ফেলে এসেছিস কারে
তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে
তুমি কোন্ ভাঙনের পথে এলে সুপ্তরাতে
তুমি যেয়ো না এখনি
তুমি কোন্ কাননের ফুল
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে
তুমি মোর পাও নাই পরিচয়
তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা
তোমার বৈশাখে ছিল প্রখর রৌদ্রের জ্বালা
তোমার মনের একটি কথা আমায় বলো বলো
তোমার রঙিন পাতায় লিখব প্রাণের কোন্ বারতা
তোমার গীতি জাগালো স্মৃতি
তোমার গোপন কথাটি সখী রেখো না মনে
তোমার পায়ের তলায় যেন গো রঙ লাগে
তোমার বীণায় গান ছিল
তোমার শেষের গানের রেশ নিয়ে কানে চলে এসেছি
তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা
তোমায় গান শোনাব তাই
তোর প্রাণের রস তো শুকিয়ে গেল ওরে
তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই
দিন পরে যায় দিন
দিন পরে যায় দিন বসি পথপাশে
দিনশেষের রাঙা মুকুল জাগল চিতে
দিনান্তবেলায় শেষের ফসল নিলেম তরী-‘পরে
দিনের পরে দিন-যে গেল আঁধার ঘরে
দিবস রজনী আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি
দিয়ে গেনু বসন্তের এই গানখানি
দীপ নিবে গেছে মম নিশীথসমীরে
দুঃখ দিয়ে মেটাব দুঃখ তোমার
দুঃখের যজ্ঞ-অনল-জ্বলনে জন্মে যে প্রেম
দূরের বন্ধু সুরের দূতীরে পাঠালো
দে তোরা আমায় নূতন ক’রে
দে পড়ে দে আমায় তোরা কী কথা আজ লিখেছে সে
দেখে যা দেখে যা দেখে যা লো তোরা
দৈবে তুমি কখন নেশায় পেয়ে
দোষী করিব না করিব না তোমারে
দ্বারে কেন দিলে নাড়া ওগো মালিনী
ধরা দিয়েছি গো আমি আকাশের পাখি
ধরা সে যে দেয় নাই
ধূসর জীবনের গোধূলিতে
ধূসর জীবনের গোধূলিতে ক্লান্ত আলোয় ম্লানস্মৃতি
না চাহিলে যারে পাওয়া যায়
না না গো না কোরো না ভাবনা
না না ভুল কোরো না গো
না বলে যায় পাছে সে আঁখি মোর ঘুম না জানে
না বলে যেয়ো না চলে মিনতি করি
না বুঝে কারে তুমি ভাসালে আঁখিজলে
না রে না রে ভয় করব না বিদায়বেদনারে
নাই নাই নাই যে বাকি
নাই বা এলে যদি সময় নাই
নাই যদি বা এলে তুমি
নারীর ললিত লোভন লীলায়
নিদ্রাহারা রাতের এ গান বাঁধব আমি কেমন সুরে
নিমেষের তরে শরমে বাধিল
নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জ্বালাইয়া যাও প্রিয়া
নিশীথে কী কয়ে গেল মনে
নীরবে থাকিস সখী
নীলাঞ্জনছায়া প্রফুল্ল কদম্ববন
নূপুর বেজে যায় রিনিরিনি
নয়ন মেলে দেখি আমায় বাঁধন বেঁধেছে
পথহারা তুমি পথিক যেন গো
পথিক পরান চল্, চল্ সে পথে তুই
পাখি আমার নীড়ের পাখি অধীর হল কেন জানি
পাছে সুর ভুলি এই ভয় হয়
পান্থপাখির রিক্ত কুলায় বনের গোপন ডালে
পুরানো জানিয়া চেয়ো না আমারে
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
পূর্ণ প্রাণে চাবার যাহা
প্রভাত-আলোরে মোর কাঁদায়ে গেলে
প্রাণ চায় চক্ষু না চায়
প্রেমের জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারে
প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে
ফিরবে না তা জানি
ফিরে ফিরে ডাক্ দেখি রে পরান খুলে
ফিরে যাও কেন ফিরে ফিরে যাও
ফুল তুলিতে ভুল করেছি প্রেমের সাধনে
বঁধু তোমায় করব রাজা তরুতলে
বনে এমন ফুল ফুটেছে
বনে যদি ফুটল কুসুম
বর্ষণমন্দ্রিত অন্ধকারে এসেছি তোমারি এ দ্বারে
বলো সখী বলো তারি নাম
বল্ গোলাপ মোরে বল্
বসন্ত সে যায় তো হেসে
বাঁশরি বাজাতে চাহি বাঁশরি বাজিল কই
বাঁশি আমি বাজাই নি কি পথের ধারে ধারে
বাজিল কাহার বীণা মধুর স্বরে
বাজে করুণ সুরে হায় দূরে
বাণী মোর নাহি
বাহির-পথে বিবাগি হিয়া
বিজয়মালা এনো আমার লাগি
বিদায় করেছ যারে নয়ন-জলে
বিনা সাজে সাজি দেখা দিবে তুমি কবে
বিরস দিন বিরল কাজ
বিরহ মধুর হল আজি মধুরাতে
বুঝি বেলা বহে যায়
বেদনায় ভরে গিয়েছে পেয়ালা
বড়ো বেদনার মতো বেজেছ তুমি হে আমার প্রাণে
ভরা থাক্ স্মৃতিসুধায় বিদায়ের পাত্রখানি
ভালোবাসি ভালোবাসি
ভালোবেসে যদি সুখ নাহি
ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে
ভুল করেছিনু ভুল ভেঙেছে
মন জানে মনোমোহন আইল
মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে
মনে যে আশা লয়ে এসেছি হল না
মনে রবে কি না রবে আমারে
মনে রয়ে গেল মনের কথা
মম দুঃখের সাধন যবে করিনু নিবেদন
মম রুদ্ধমুকুলদলে এসো সৌরভ-অমৃতে
মম যৌবননিকুঞ্জে গাহে পাখি
মরি লো মরি আমার বাঁশিতে ডেকেছে কে
মান অভিমান ভাসিয়ে দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আয়
মিলনরাতি পোহালো বাতি নেভার বেলা এল
মুখখানি কর মলিন বিধুর যাবার বেলা
মুখপানে চেয়ে দেখি ভয় হয় মনে
মেঘছায়ে সজল বায়ে মন আমার
মোর স্বপন-তরীর কে তুই নেয়ে
যখন এসেছিলে অন্ধকারে
যখন ভাঙল মিলন-মেলা
যদি বারণ কর তবে গাহিব না
যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা
যদি আসে তবে কেন যেতে চায়
যদি হল যাবার ক্ষণ
যদি হায় জীবন পূরণ নাই হল মম
যা ছিল কালো ধলো তোমার রঙে রঙে রাঙা হল
যাক ছিঁড়ে যাক ছিঁড়ে যাক মিথ্যার জাল
যাবার বেলা শেষ কথাটি যাও বলে
যায় নিয়ে যায় আমায় আপন গানের টানে
যুগে যুগে বুঝি আমায় চেয়েছিল সে
যে ছায়ারে ধরব বলে করেছিলেম পণ
যে ছিল আমার স্বপনচারিণী
যে দিন সকল মুকুল গেল ঝরে
যে ফুল ঝরে সেই তো ঝরে
যেয়ো না যেয়ো না ফিরে
যৌবনসরসীনীরে মিলনশতদল
রাতে রাতে আলোর শিখা রাখি জ্বেলে
রোদনভরা এ বসন্ত
লিখন তোমার ধুলায় হয়েছে ধূলি
লুকালে ব’লেই খুঁজে বাহির করা
শুনি ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে
শুভ মিলনলগনে বাজুক বাঁশি
শেষ বেলাকার শেষের গানে
শ্রাবণের পবনে আকুল বিষণ্ন সন্ধ্যায়
সকরুণ বেণু বাজায়ে কে যায়
সকরুণ বেণু বাজায়ে কে যায় বিদেশী নায়ে
সকল হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছি যারে
সকালবেলায় আলোয় বাজে বিদায়ব্যথার ভৈরবী
সখা আপন মন নিয়ে কাঁদিয়ে মরি
সখী আমারি দুয়ারে কেন আসিল
সখী তোরা দেখে যা এবার এল সময়
সখী বলো দেখি লো
সখী প্রতিদিন হায় এসে ফিরে যায় কে
সখী আঁধারে একেলা ঘরে মন মানে না
সখী ওই বুঝি বাঁশি বাজে
সখী বহে গেল বেলা
সখী সে গেল কোথায়
সব কিছু কেন নিল না
সবার সাথে চলতেছিল অজানা এই পথের অন্ধকারে
সমুখেতে বহিছে তটিনী
সময় কারো যে নাই
সাজাব তোমারে হে ফুল দিয়ে দিয়ে
সুখে আছি সুখে আছি সখা আপন মনে
সুনীল সাগরের শ্যামল কিনারে
সুন্দর হৃদিরঞ্জন তুমি নন্দনফুলহার
সে আমার গোপন কথা শুনে যা ও সখী
সে আসে ধীরে
সে যে পাশে এসে বসেছিল
সে যে বাহির হল আমি জানি
সেই ভালো সেই ভালো আমারে নাহয় না জানো
সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে
স্বপনে দোঁহে ছিনু কী মোহে জাগার বেলা হল
স্বপ্নমদির নেশায় মেশা এ উন্মত্ততা
হল না লো হল না সই
হাসিরে কি লুকাবি লাজে
হায় অতিথি এখনি কি হল তোমার যাবার বেলা
হায় গো ব্যথায় কথা যায় ডুবে যায়
হায় রে ওরে যায় না কি জানা
হায় হতভাগিনী স্রোতে বৃথা গেল ভেসে
হৃদয়ের এ কূল ও কূল দু কূল ভেসে যায়
হে ক্ষণিকের অতিথি
হে নবীনা প্রতিদিনের পথের ধুলায় যায় না চিনা
হে নিরুপমা গানে যদি লাগে বিহ্বল তান করিয়ো ক্ষমা
হে বিরহী হায় চঞ্চল হিয়া তব
হে সখা বারতা পেয়েছি মনে মনে
হেলাফেলা সারা বেলা
Share
Bangla Books
Rabindranath Tagore
Sarat Chandra Chattopadhyay
Satyajit Ray
Sukumar Ray
Humayun Ahmed
Muhammed Zafar Iqbal
Jasimuddin
Shirshendu Mukhopadhyay
Sunil Gangopadhyay
Sukanta Bhattacharya
Bankim Chandra Chattopadhyay
Abdullah Al Muti
Arif Azad
Syed Mujtaba Ali
Taradas Bandyopadhyay
Narayan Gangopadhyay
Nimai Bhattacharya
Narayan Sanyal
Nihar Ranjan Gupta
Pramatha Chaudhuri
Premendra Mitra
Farrukh Ahmad
Manik Bandyopadhyay
Suchitra Bhattacharya
Sujan Dasgupta
All Books