BDELIBRARY





বলাকা

রবীন্দ্র রচনাবলী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর




আজ এই দিনের শেষে
আজ প্রভাতের আকাশটি এই
আনন্দ-গান উঠুক তবে বাজি
আমরা চলি সমুখপানে
আমার কাছে রাজা আমার রইল অজানা
আমার মনের জানলাটি আজ হঠাৎ গেল খুলে
আমি যে বেসেছি ভালো এই জগতেরে
এই দেহটির ভেলা নিয়ে দিয়েছি সাঁতার গো
এইক্ষণে মোর হৃদয়ের প্রান্তে আমার নয়ন-বাতায়নে
এবার যে ওই এল সর্বনেশে গো
এবারে ফাল্গুনের দিনে সিন্ধুতীরের কুঞ্জবীথিকায়
ওরে তোদের ত্বর সহে না আর
ওরে  নবীন, ওরে আমার কাঁচা
কত লক্ষ বরষের তপস্যার ফলে
কে তোমারে দিল প্রাণ রে পাষাণ
কোন্‌ ক্ষণে সৃজনের সমুদ্রমন্থনে
জানি আমার পায়ের শব্দ রাত্রে দিনে শুনতে তুমি পাও
তুমি কি কেবল ছবি শুধু পটে লিখা
তুমি দেবে, তুমি মোরে দেবে
তোমার শঙ্খ ধুলায় প’ড়ে
তোমারে কি বারবার করেছিনু অপমান
দূর হতে কী শুনিস মৃত্যুর গর্জন
নিত্য তোমার পায়ের কাছে
পউষের পাতা-ঝরা তপোবনে
পাখিরে দিয়েছ গান, গায় সেই গান
পুরাতন বৎসরের জীর্ণক্লান্ত রাত্রি
বলাকা (সন্ধ্যারাগে-ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা)
বিশ্বের বিপুল বস্তুরাশি
ভাবনা নিয়ে মরিস কেন খেপে
মত্ত সাগর দিল পাড়ি গহন রাত্রিকালে
মোর গান এরা সব শৈবালের দল
যখন আমায় হাতে ধরে
যতক্ষণ স্থির হয়ে থাকি
যে-কথা বলিতে চাই
যে-বসন্ত একদিন করেছিল কত কোলাহল
যেদিন উদিলে তুমি, বিশ্বকবি, দূর সিন্ধুপারে
যেদিন তুমি আপনি ছিলে একা
যৌবন রে, তুই কি রবি সুখের খাঁচাতে
শা-জাহান
সর্বদেহের ব্যাকুলতা কী বলতে চায় বাণী
স্বর্গ কোথায় জানিস কি তা ভাই
হে প্রিয়, আজি এ প্রাতে
হে বিরাট নদী, অদৃশ্য নিঃশব্দ তব জল
হে ভুবন আমি যতক্ষণ তোমারে না বেসেছিনু ভালো
হে মোর সুন্দর
০০. উৎসর্গ (বলাকা)